কনকনে শীত হোক, প্রবল বর্ষা হোক অথবা প্রচণ্ড তাড়াহুড়োর মুখে খিদে পেলেই হোক, ঘি-ভাত বাঙালির চিরকালের প্রিয়! গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে অল্প ঘিয়ের সুগন্ধ হলে খাওয়া জমে যায়! পুজোর খিচুড়িও ঘি ছাড়া অসম্পূর্ণ! আপনি যদি ঘি ভালবাসেন, তা হলে জেনে রাখুন ঘি খেতে যেমন ভালো, তেমনি আপনার ত্বকের পক্ষেও ঘি অনেক উপকারী! খাওয়ার পাশাপাশি রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন ঘি, আর তফাৎটা নিজেই দেখে নিন!
শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি
শীতের দিনে তো বটেই, সারা বছর যাঁরা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা আস্থা রাখুন ঘিয়ে। অল্প একটু ঘি নিয়ে হাত-পা, কনুই, হাঁটুর মতো শুকনো অংশে কয়েক মিনিট মাসাজ করুন, দেখবেন শুষ্কতা কত তাড়াতাড়ি কমে যায়! ঘি শুষ্ক ত্বকের উপর একটি সুরক্ষার আস্তরণ তৈরি করে দেয় এবং ত্বক আরও শুকিয়ে যেতে দেয় না!
বিদায় দিন বলিরেখাকে
ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে ঘিয়ের মতো কার্যকর আর কিছুই নেই! ঘিয়ের ভিটামিন ই-এর মধ্যে অ্যান্টি-এজিং গুণ রয়েছে। প্রতিদিন অল্প ঘি খেলে আপনার ত্বক থাকবে টানটান, বলিরেখামুক্ত।
স্নান করার সময়
স্নানের আদর্শ তেল হিসেবে জুড়ি নেই ঘিয়ের। চার-পাঁচ ফোঁটা ঘি নিয়ে তার সঙ্গে আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল পরিমাণমতো মিশিয়ে নিন। স্নানের আগে এই তেলটা সারা গায়ে মেখে নিন, ত্বক তুলতুলে নরম থাকবে সারা বছর।
দীপ্তি ফেরান চোখের
আয়নায় তাকালে নিজের চোখদুটোকে কি খুব ক্লান্ত মনে হয়? কয়েক ফোঁটা ঘি নিয়ে চোখের চারপাশে হালকা হাতে মাসাজ করুন। নিয়মিত করলে দ্রুত দীপ্তি ফিরবে চোখের, ক্লান্তভাবও কেটে যাবে।
ফাটা ঠোঁটের দাওয়াই
সারা বছর ঠোঁট ফাটে? ঘিয়ের চেয়ে ভালো লিপবাম কিন্তু আর পাবেন না! ঠোঁটে অল্প ঘষে নিন, ঠোঁট হয়ে উঠবে কোমল, নরম আর চকচকে।
Comments
Post a Comment